অর্থপাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় থেকে খালাস দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুর করে তাকে ‘নির্দোষ’ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে, আপিল করতে না পারলেও তারেক রহমানও খালাসের সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।

আদালতে আপিলের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, এডভোকেট জাকির হোসেন ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। পরে ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

বিচার শেষে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানার রায় দেন। একইসঙ্গে, পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।

এরপর ২০১৬ সালে হাইকোর্টের রায়ে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়, পাশাপাশি মামুনের সাজা বহাল রাখা হয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে মামুন আপিল করলে আজ আপিল বিভাগ তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে খালাস দেন, যা তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।