নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী শনিবার, ১৫ মার্চ, সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্যাম্পেইনের আওতায় ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে এই ক্যাপসুল বিতরণ করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে ক্যাম্পেইনের দিন সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা রোগসহ অন্যান্য অপুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে এই ক্যাম্পেইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৭৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের ফলে বর্তমানে রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে, সেজন্য ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের অভিভাবকদের নিকটস্থ ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় ৫৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম জানান, নির্ধারিত ১১৪টি কেন্দ্রে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক ও সুপারভাইজারদের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
নোয়াখালী জেলায়ও ১৫ মার্চ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ২,২৮৭টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নবাগত জেলা সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি জানান, মাঠ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকগণ একযোগে কাজ করবে এবং সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করা হবে।
সারাদেশে এই ক্যাম্পেইনের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।