অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে দেওয়া সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। তার দাবি, যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন উত্তেজনার মধ্যে পড়েছে।
গত তিন বছরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ১৮০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। তবে ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স অভিযোগ করেছেন, জেলেনস্কি এই সহায়তার জন্য যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি। ওভাল অফিসে সম্প্রতি এক বৈঠকে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার পরই ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নেন।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে মনোনিবেশ করেছেন এবং তিনি চান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তা ‘স্থগিত ও পর্যালোচনা’ করছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, যতদিন না ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়, ততদিন ট্রাম্পের এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
ট্রাম্প এর আগেও ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তিনি একদিনের মধ্যে লড়াই বন্ধ করতে পারেন। একই সঙ্গে তিনি জেলেনস্কির প্রতি তার হতাশার কথা প্রকাশ করেছেন এবং বিশ্বাস করেন, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর আস্থা রাখা যেতে পারে।
গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধের সমাপ্তি সম্ভবত ‘এখনও অনেক দূরে’। অন্যদিকে, জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন এবং বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে।