অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আলোচনা করবেন। আগামী মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটন যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে একটি ঘোষণা আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলবো এবং শিগগিরই যুদ্ধ বন্ধের দিকে অগ্রগতি হবে।’
ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে এই সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে এবং অনেক কাজ ইতিমধ্যে করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের কথোপকথন যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প তার পররাষ্ট্রনীতি নতুনভাবে সাজাচ্ছেন, এবং পুতিনের সঙ্গে আলোচনা তার এই পদক্ষেপের একটি অংশ।
তবে, ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ তারা শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে। যুদ্ধের প্রথম দিকে রাশিয়া ইউক্রেনকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হলেও, মস্কো প্রতিবেশী দেশটির একটি বিশাল অংশ দখল করতে সক্ষম হয়েছে। ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় এসব দখলকৃত ভূমি এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এসব সম্পদ ভাগাভাগি হতে পারে।
এদিকে, ৫৭ দিন পর ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের জন্য আশাবাদী হলেও নির্বাচনী প্রচারে বেশ কয়েকবার তিনি এর আগে আশার কথা বললেও, শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, তিনি এসব রসিকতা করেছিলেন।
এছাড়া, ১১ মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেয়া হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ১৪ মার্চ পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। পুতিন এই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন, তবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।
