অনলাইন ডেস্ক:
ইরান জানিয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষভাবে আলোচনা করতে আগ্রহী, তবে এই আলোচনা সরাসরি নয়, বরং মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই অঞ্চলে উত্তেজনা কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে কোনো ধরনের সরাসরি যোগাযোগ না করে, মধ্যস্থতাকারী ব্যবহার করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরান এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে যাতে মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান উত্তেজনা কমানো যায়। যদিও ইরান সরাসরি আলোচনা চায়নি, তবে এটি একটি সংকেত যে তারা বৈরিতার পরিবর্তে আলোচনা এবং কূটনৈতিক উপায় অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক।
এদিকে, সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বোমা হামলার পর এই আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। ইরান দাবি করেছে যে, এই হামলার পেছনে ইসরায়েল রয়েছে এবং তারা উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে। এই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে।
ইরান তার আঞ্চলিক সহযোগী দেশগুলোকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে, যাতে তারা তাদের ভূখণ্ড ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করতে দেয়। ইরান জানিয়েছে, যদি কোনো দেশ ইসরায়েলকে সহায়তা করে, তাহলে ইরান সেই দেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
ইরানের এই দ্বৈত বার্তা – একদিকে আলোচনার আগ্রহ এবং অন্যদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি – মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক মহল বর্তমানে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হলে তা অঞ্চলের উত্তেজনা কমাতে সহায়ক হতে পারে। তবে, ইরানের দেওয়া কঠোর হুঁশিয়ারি আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে।