ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) ঈদের পঞ্চম দিনে সদরঘাটে লঞ্চযোগে আসা যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় রোববার প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীতে ফিরতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, আগামীকালও একই ধরনের ভিড় থাকতে পারে। লঞ্চ কর্মীরা জানিয়েছেন, গত দু’দিনের তুলনায় আজ ভিড় বেশি ছিল। ঢাকায় ফিরে আসা প্রায় সব লঞ্চ যাত্রীদের রেখে পুনরায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ফলে সদরঘাট টার্মিনালে জনজট ও ভোগান্তি দেখা গেছে। যাত্রীরা টার্মিনাল থেকে নামার পর দীর্ঘ পথ হেঁটে যানবাহনে উঠতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে, এখনও কিছু মানুষ ঈদের ছুটির পর নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছেন। তবে, সাধারণভাবে রাজধানী এখন অনেকটা ফাঁকা এবং যানজটমুক্ত বলা যায়।

সদরঘাট ঘুরে এবং বাংলাদেশ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা গেছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭০-৭৫টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসেছে। ঘরে ফেরা মানুষের চাপ সামলাতে প্রায় সব লঞ্চ দ্রুত যাত্রী নিয়ে ফেরত চলে গেছে।

বিআইডব্লিটিএ’র কর্মকর্তা আরিফ বলেন, “আজ খুব সকালে ৭০টিরও বেশি লঞ্চ ঢাকায় এসেছে। এসব লঞ্চ যাত্রী রেখে দ্রুত টার্মিনাল ত্যাগ করেছে। লম্বা ছুটি ছিল, এ কারণে মানুষ ধাপে ধাপে ফিরছে। গত দু’দিনের তুলনায় আজ ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ ঢাকায় ফিরে আসবে।”

মেসার্স সুরভি-৭ লঞ্চের কর্মচারী সাইদুল বলেন, “আজ ভিড় একটু বেশি। ঈদের আগের দু’দিন এবং ছুটির শেষের দুইদিন, অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার, লঞ্চে মানুষের চাপ সাধারণত বেশি থাকে।”

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজ মিয়া বলেন, “ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামে গিয়েছিলাম, আজ ঢাকায় ফিরে আসার সময় মানুষের চাপ ছিল তবে খুব বেশি না। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে লঞ্চের যাত্রী কমেছে, তবে অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে আমাদের সকাল সাড়ে ৫টায় লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। সদরঘাটে গাড়ি পেতে একটু দুর্ভোগ হয়েছে।”

বিআইডব্লিটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৪০টি নৌরুটে সার্ভিস চালাচ্ছে শতাধিক লঞ্চ। এসব লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল-ঝালকাঠি-পটুয়াখালী-বরগুনা-ভোলা রুটে চলাচল করে। বিশেষ লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীদের চাহিদা মেটানোর জন্য চলাচল করছে, এবং সাধারণ সময়ে লঞ্চগুলো বাই রোটেশন তালিকা অনুসারে চলাচল করে।