অনলাইন ডেস্ক:
ঈদুল ফিতরের আমেজে ঢাকাই সিনেমায় ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। দীর্ঘ সময় ধরে ঝিমিয়ে পড়া চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবারও দেখা যাচ্ছে দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলছে উপচে পড়া ভিড়, টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে অনেককেই। ঈদের পরবর্তী ১২ দিনের চিত্রে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’। টিকিট বিক্রি, শো বাড়ানো এবং দর্শক আগ্রহ—সবদিক থেকেই ছবিটি এগিয়ে। এছাড়া আলোচনায় আছে আফরান নিশো ও তমা মীর্জার ‘দাগি’, এবং সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’। বিশেষ করে ‘জংলি’র শো সংখ্যা চাহিদার ভিত্তিতে বাড়াতে হয়েছে বলে জানাচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ।
এই সাফল্যে খুশি সিনেমা শিল্পী ও প্রযোজকরা। শহীদুজ্জামান সেলিম, যিনি এবারের ঈদে তিনটি সিনেমায় একসঙ্গে পর্দায় এসেছেন, বলেন, “ঈদকেন্দ্রিক হলেও ঢাকাই সিনেমায় সুবাতাস বইছে। এই ধারা সারা বছর ধরে রাখতে পারলে আমাদের সিনেমা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে।”
‘দাগি’র নায়িকা তমা মীর্জা বলেন, “ভালো গল্প ও মানসম্মত নির্মাণ থাকলে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসে—এই ঈদ সেটির প্রমাণ।”
অন্যদিকে ‘জংলি’র অভিনেতা সিয়াম আহমেদ বলেন, “নিঃসন্দেহে বলা যায়, ঢাকাই সিনেমায় সুবাতাস বইছে। হোক না উৎসবকেন্দ্রিক, কিন্তু বইছে তো! আমাদের কাজ হলো এই গতি ধরে রাখা।”
ঈদের আরেক আলোচিত ছবি ‘চক্কর ৩০২’ দিয়ে পর্দায় ফিরেছেন মোশাররফ করিম। তিনি বলেন, “দর্শক হলে ফিরছে—এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। আমাদের সিনেমার যে গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে, সেটি আবারও জাগ্রত হচ্ছে।”
এর আগেও ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’র মতো সিনেমা ঈদকেন্দ্রিক মুক্তিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবারও একই ধারায় নতুন ছবিগুলোর প্রতি দর্শকের আগ্রহ প্রমাণ করছে, বাংলা সিনেমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা এখনো অটুট, যদি থাকে ভালো গল্প আর যত্নবান নির্মাণ।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সাফল্য ক্ষণিকের যেন না হয়, বরং এটিকে টেকসই ধারায় রূপান্তর করতে হলে দরকার সারা বছর ধরে মানসম্মত সিনেমা নির্মাণ ও মুক্তির পরিকল্পনা।