ঈদ শেষে ভোগান্তিহীন ঢাকায় ফিরছে মানুষ

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ, যদিও আজও ছুটি চলছে এবং কারও ছুটি আজ শেষ হলেও কারও কাল পর্যন্ত থাকবে। এবার বিগত বছরগুলোর মতো ভোগান্তি নেই, রাজধানীর প্রবেশ ও বাহিরের পথে তীব্র ভিড় বা যানবাহনের চাপ নেই, এবং গাবতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ফিরতি যাত্রীর চাপ এখনো কম, তবে আগামীকাল বাড়তে পারে।

গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে যান চলাচল বেড়েছে এবং মানুষের উপস্থিতিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর দূরপাল্লার বাস আসছে। একই সঙ্গে, সিএনজি চালকরা যাত্রী খুঁজতে ব্যস্ত। তবে তারা বলছেন, কাঙ্ক্ষিত যাত্রী এখনো অনেক কম।

রাজধানীতে ফিরতে তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না বলে জানান যাত্রীরা। নগরী ফিরতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা। নাটোর থেকে ঢাকায় ফিরেছেন মো. অন্তর, যিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, “আগামীকাল থেকে অফিস শুরু হবে, তাই আজ ফিরে এসেছি। রাস্তায় কোথাও যানজট বা ভোগান্তি হয়নি। বাড়িতে গিয়েই ফিরতি টিকিট কেটেছিলাম, তাই আসার সময় কোনো সমস্যা হয়নি।”

রংপুর থেকে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন মোহসীন। তিনি জানান, “আগামীকাল থেকে অফিস শুরু হবে, তাই পরিবার নিয়ে আজই ফিরলাম। রাস্তায় কোথাও কোনো ঝামেলা হয়নি। অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপও ছিল না, যা বিগত বছরগুলোর মতো দেখা যেত।”

ফরিদপুর থেকে ঢাকায় ফিরেছেন সৌরভ। তিনি বলেন, “রাস্তায় কোথাও কোনো ভোগান্তি ছিল না। পদ্মা সেতুর কারণে ফেরিঘাটের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় না। এ ছাড়া, টিকিট পেতেও কোনো সমস্যা হয়নি।”

এদিকে, গাবতলী বাস টার্মিনালে সিএনজি চালকরা আশানুরূপ যাত্রী না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। সিএনজি চালক এরশাদুল বলেন, “আগে গাবতলীতে একের পর এক গাড়ি ঢুকত, যাত্রীরা নেমেই সিএনজি খুঁজত। তবে এখন যাত্রীদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।” অন্য এক চালক জানান, “সকাল থেকে মাত্র এক ট্রিপ পেয়েছি। তারপর থেকে বসে আছি, যাত্রী নেই।”

শ্যামলী পরিবহনের চালকের সহকারী মো. আবির বলেন, “যাত্রী আছে, তবে অতিরিক্ত চাপ নেই। আশা করা যায়, আগামীকাল যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে।”

হানিফ পরিবহনের চালকের সহকারী মো. আলমগীর হোসেন জানান, “এবার দীর্ঘ ছুটি হওয়ায় একসাথে যাত্রীর চাপ নেই। কিছু মানুষ আজ ফিরছে, কিছু কাল ফিরবে, আবার কিছু লোক দুই দিন আগেই ফিরেছে। তবে আগামীকাল চাপ বাড়বে বলে ধারণা করছি।”