জেলা প্রতিনিধি :
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত শেষে উত্তরবঙ্গের আকাশে-বাতাসে এখন শীতের আভাস স্পষ্ট। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকেই লালমনিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে পড়ছে ভোরের কুয়াশা, বাড়ছে ঠান্ডা হাওয়া—প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ছে শীত আগমনের বার্তা।
গত কয়েকদিন ধরে ভোরের আগে থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার গ্রামীণ জনপদ। রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ।
স্থানীয়রা জানান, সকালে অটোরিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে কুয়াশার কারণে। দুহুলী এলাকার চালক রাজেন অধিকারী বলেন, “ভোরে অটো নিয়ে বের হয়েছি, কিন্তু ঘন কুয়াশায় রাস্তা দেখা যাচ্ছিল না। হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়েছে।”
শীতের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে গ্রামীণ জনপদে। ঘরে ঘরে বের করা হচ্ছে পাতলা কাঁথা, চাদর ও কম্বল। সন্ধ্যা নামলেই হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে, মধ্যরাতের পর সেই শীত আরও বাড়ছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, “সাম্প্রতিক বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা কিছুটা বেশি লাগছে। ভোরের কুয়াশা মৌসুম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।”
প্রকৃতির এই পরিবর্তনে কৃষক ও গ্রামীণ মানুষদের মুখে আনন্দ। ধান পাকার সুবাস, শাপলা-শিউলির সৌন্দর্য আর কুয়াশায় মোড়া প্রভাত—সব মিলিয়ে লালমনিরহাটে এখন এক অনিন্দ্য হেমন্তের ছোঁয়া।











