অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের উত্তরাখান্ডে- রাজ্যের সীমান্তবর্তী মানা গ্রামে তুষারধসে অন্তত ৪ জন নিহত এবং আরো ৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার তিব্বত সীমান্তবর্তী এই এলাকায় একটি নির্মাণ শিবিরে তুষারধস আঘাত হানলে ৫৫ জন শ্রমিক বরফ ও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, প্রথমে ৫০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হলেও, তাদের মধ্যে ৪ জন আহত অবস্থায় মারা যান। এছাড়া, ৫ জন শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। সেনাবাহিনী আরও জানায়, সড়কপথ বন্ধ থাকায় উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য ছয়টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
উত্তরাখান্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা অবিরাম ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তিনি সরকারের পক্ষ থেকে এই সংকটময় মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে, মানা গ্রামটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানকার বাসিন্দারা তীব্র আবহাওয়ার থেকে বাঁচতে নিচু অঞ্চলে সরে গেছেন। শীতকালে হিমালয়ের উঁচু অঞ্চলে তুষারধস ও ভূমিধস সাধারণ ঘটনা হলেও, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
পূর্বে ২০১৩ সালে বিধ্বংসী বর্ষা ও ভূমিধসে প্রায় ৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং ২০২১ সালে হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়, যাতে প্রায় ১০০ জন নিহত হন। এসব ঘটনাগুলোর পর রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর পুনঃমূল্যায়ন করার দাবি ওঠে।