অনলাইন ডেস্ক:
ইসরায়েল এবং হামাস চলতি সপ্তাহে ছয় জিম্মিকে মুক্তির বিষয়ে চুক্তি হওয়ার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরে যেতে শুরু করেছে। গত সোমবার থেকে ইসরায়েল সরকার ঘোষণা করেছে যে, ফিলিস্তিনিরা গাজার উত্তরাঞ্চলে তাদের আবাসস্থলে ফিরতে পারবে।
গত শনিবার থেকে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত নেটজারিম করিডর অতিক্রম শুরু করে। আলজাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইসরায়েল এই ঘোষণার পর নেটজারিম করিডরের কাছে অপেক্ষারত হাজারো ফিলিস্তিনি আনন্দে ফেটে পড়ে। তারা মুহূর্তটিকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মতো এটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত সোমবার সকাল ৭টা থেকে ফিলিস্তিনিরা আল-রশিদ স্ট্রিট হেঁটে এবং সকাল ৯টা থেকে গাড়িতে করে সালাহ আল-দিন স্ট্রিট অতিক্রম করতে পারবে।
এদিকে, হামাস গত শনিবার ৪ জন ইসরায়েলি নারী সৈন্যকে মুক্তি দেয় এবং বিনিময়ে ইসরায়েল ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। তবে, ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে, কারণ তারা ইহুদ নামে এক বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়নি। এর ফলস্বরূপ, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।
ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধবিরতির অপেক্ষায় ছিল। গাজার উত্তরাঞ্চল যুদ্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে, গাজার বাসিন্দারা তাদের ঘরে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল, তবে হামাস ওই নারী জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়ায় তাদের ফিরে যাওয়া আটকে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার মন্তব্য করেন যে, “গাজা পরিষ্কার করা” একটি বিকল্প হতে পারে, যেখানে আরব দেশগুলোর সহযোগিতায় ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন আবাসন ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। তবে, মিসর এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে, এবং জর্দানের বিশ্লেষকরা এটিকে আরব দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, প্রথম ছয় সপ্তাহে হামাস ৩৩ জন নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং প্রতিটি বেসামরিক জিম্মির জন্য ইসরায়েল ৩০ বন্দি এবং প্রতিটি সেনার জন্য ৫০ বন্দি মুক্তি দেবে।
সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি