অনলাইন ডেস্ক:
কাশ্মীরের পহেলগামে গত সপ্তাহে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ (বুধবার) সকালে তার বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)-এর একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনা, সামরিক প্রস্তুতি এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। সিসিএস বৈঠকটি ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিতে পারে। এর আগে, গত সপ্তাহে মোদি সরকার সীমান্ত বন্ধ, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত এবং সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ভারতের কড়া পদক্ষেপের পর পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ককে নিম্নস্তরে নামিয়ে এনে ভারতীয় নাগরিকদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া তারা সিমলা চুক্তি ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছে। সীমান্তে প্রতিদিন গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে, যার ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আজকের বৈঠকগুলো শুধু ভারতের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক মহলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিণতি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামো ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বৈঠকগুলোর ফলাফল শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককেই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সিসিএস বৈঠকের পরপরই মোদি নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি (সিসিপিএ)-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাজনীতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। একইদিনে অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বর্তমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং বাজার স্থিতিশীলতার বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে।