জেলা প্রতিনিধি :
প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ খুলনার কয়রা উপজেলায় সাইক্লোন সেল্টারের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে ১১৭টি সাইক্লোন সেল্টার থাকলেও তা ৩ লক্ষাধিক মানুষের জন্য পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য এই সংকট আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।
প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় কয়রার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে ঠাঁই নেয়। তবে জায়গার সংকটের কারণে এক কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হয়, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে। নারীদের জন্য নেই আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা, ফলে গর্ভবতী নারী, বয়সন্ধী কিশোরী ও শিশুদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কয়রার মানুষ অতীতে সিডর, আইলা, আম্ফান, ইয়াস ও রিমেলের মতো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে। সুন্দরবনের পাশে অবস্থিত হওয়ায় এ অঞ্চলে প্রায় প্রতি বছর জলোচ্ছ্বাস ও নদীভাঙনের ঘটনা ঘটে। কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া, শিবসা ও আড়পাঙ্গাসীয়া নদী দ্বারা বেষ্টিত কয়রার মানুষ বছরের পর বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের আতঙ্কে বসবাস করছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়রার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে আমাদী ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ৬টি ইউনিয়ন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এখানে আরও নতুন সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা জরুরি। নারী ও শিশুদের বিশেষ চাহিদার কথা উল্লেখ করে নারী নেত্রী মুর্শিদা আক্তার বলেছেন, সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট ও নিরাপদ থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস জানান, কয়রাবাসীর দুর্ভোগ কমাতে আরও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মিললেই নতুন সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হবে।