নিজস্ব প্রতিবেদক:
কয়েক বছর ধরে প্রয়োজনের সময় কাঙ্ক্ষিত সেচ সুবিধা না পেলেও এবার মৌসুমের শুরুতেই গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পে পর্যাপ্ত পানি মিলছে। এতে কুষ্টিয়ায় ১১ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা পাবে, পাশাপাশি উপকৃত হবেন চুয়াডাঙ্গার কৃষকরাও।
কৃষক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সঠিক সময়ে পানি পাওয়ায় বোরো চাষে বিঘাপ্রতি খরচ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। এছাড়া পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসলও লাভবান হবে।
কৃষকরা জানান, গত কয়েক মৌসুম পানির সংকট থাকায় অনেক জমি অনাবাদি থেকে গিয়েছিল। এবার সময়মতো পানি পাওয়ায় তারা খুশি। শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, “আমরা ভাবিনি জিকে থেকে পানি পাব। এখন এটা আমাদের জন্য বাড়তি বোনাস।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়া অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রশিদুর রহমান জানান, ভেড়ামারার পাম্প থেকে ৬ মার্চ থেকে পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। আরও একটি পাম্প সচল করার কাজ চলছে, যা চলতি মাসেই চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জিকে সেচ ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি সাফায়েত হোসেন পল্টু বলেন, “গত বছর সেচ সংকটের কারণে কৃষকরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এবার নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ নিশ্চিত হলে উৎপাদন বাড়বে এবং কৃষকরা লাভবান হবেন।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জিকে সেচ প্রকল্প আধুনিকায়নে ১,৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার আওতায় নতুন পাম্প স্থাপন ও খাল সংস্কার করা হবে। এতে আগামীতে কৃষকরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।