নিজস্ব প্রতিবেদক:
“১৯৭১ সালকে ভুলে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। কারণ ওটাই আমাদের জন্মের ঠিকানা,”— বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “একটি শক্তি আছে যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। তারা এখন সেই ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম করছে।”
তিনি দাবি করেন, “আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, খালেদা জিয়ার ছয় বছরের কারাবাস, হাজার হাজার নেতা-কর্মীর গুম ও হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে এক দমনমূলক শাসন চলছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা নির্বাচনের পক্ষের দল। গণঅভ্যুত্থানের পরপরই বলেছিলাম—তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই। তাহলে অপশক্তি মাথা তুলতে পারত না।”
তিনি জানান, প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনের আলোচনায় বিএনপি দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনায় তাদের মতামত পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গণভোটের বিষয়টিতে আমরা রাজি হয়েছি—তবে সেটি নির্বাচনের দিনেই করা উচিত, আলাদাভাবে নয়। এতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে।”
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, “একটি মহল পরিকল্পিতভাবে জাতিকে বিভক্ত করতে চায়, যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা যায়।” তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা করেছিলেন, পরে বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটি বাতিল করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “বিএনপি নির্বাচনের পেছানোর কথা কখনো বলেনি। আমরা চাই, নির্বাচন দ্রুত হোক এবং জনগণ যেন ভোটের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে।”











