অনলাইন ডেস্ক:
গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর, গাজা শহরের অধিকাংশ এলাকাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, এবং ধারণা করা হচ্ছে তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। সোমবার, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন, ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করেছেন।
ফিলিস্তিনি সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল রয়টার্সকে বলেন, “আমরা ১০ হাজার শহীদের সন্ধান করছি, যাদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। কমপক্ষে ২৮৪০টি মরদেহ গলে গেছে এবং তাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও জানান, “এটি একটি বড় ধাক্কা ছিল। মানুষ হতবাক বনে গেছে। তাদের ঘরবাড়ি একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে। দেখলে মনে হবে, এখানে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে সব কিছু মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় ৪৭,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, গাজা পুনর্গঠনে কয়েক দশক সময় নিতে পারে এবং এর জন্য কয়েক কোটি ডলার প্রয়োজন হবে। ধ্বংসস্তূপ সরাতে ২১ বছর এবং ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে।
যুদ্ধবিরতির শর্তে হামাস তিনজন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ এলাকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল থেকে রাফাহ শহরে আটজন ইসরায়েলি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জন জিম্মি গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রাণহানি ৪৭,০০০ ছাড়িয়েছে।