জেলা প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের হাইমচরে একজন উদ্যমী যুবক রনি পাটোয়ারী নিজ উদ্যোগে জামদানি শাড়ি তৈরি করছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি নারীদের পোশাকে পরিবর্তন এলেও শাড়ির জনপ্রিয়তা অটুট রয়েছে। বিশেষ করে বেনারসি, কাতান, জামদানি, মসলিন ও সিল্ক শাড়ির কদর সর্বাধিক। এসব শাড়ি তৈরির জন্য দেশে গড়ে উঠেছে শিল্প কারখানা, পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমেও অনেক শাড়ি উৎপাদিত হচ্ছে।
রনি পাটোয়ারী হাইমচরের ৩ নম্বর দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ২০ বছর নারায়ণগঞ্জে কাজ করে জামদানি শাড়ি তৈরির দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। এরপর নিজ গ্রামে ফিরে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠা করেন এবং এখন সেখানেই জামদানি শাড়ি বুনে চলেছেন। তার তৈরি শাড়িগুলো স্থানীয়ভাবে সাড়া ফেলেছে এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অর্ডার পাচ্ছেন তিনি।
রনি জানান, একটি জামদানি শাড়ি তৈরিতে তার প্রায় ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগে। মূল্য নির্ভর করে কারুকাজের উপর, যা ৩,৭০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ অর্ডারে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা দামের শাড়িও তৈরি করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যদি সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তবে এই শিল্প আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে এবং স্থানীয় অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, “এই অঞ্চলে তেমন কোনো শিল্প গড়ে ওঠেনি, তাই রনির উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। শিল্পের প্রসারে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়া হবে।”
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিলও রনির এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “তার ক্ষুদ্র উদ্যোগকে বড় করতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহযোগিতা থাকবে।”
স্থানীয় প্রশাসনের উৎসাহ এবং নিজ প্রচেষ্টায় রনি পাটোয়ারীর জামদানি শাড়ির উদ্যোগ একদিন বৃহৎ শিল্প হিসেবে গড়ে উঠবে, এমনটাই আশা করছেন এলাকাবাসী।