অনলাইন ডেস্ক:
চীন থেকে ইরানের উদ্দেশ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের প্রপেল্যান্ট তৈরির উপকরণ পরিবহনকারী দুটি কার্গো জাহাজ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রা করবে। এই তথ্য দুটি ভিন্ন পশ্চিমা দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি) প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর নিশ্চিত করেছে।
জাহাজ দুটি ইরানের মালিকানাধীন এবং ইতোমধ্যেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এর ফলে, চীনের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের পতাকাবাহী গোলবোন ও জাইরান নামের জাহাজ দুটি ১০০০ টনেরও বেশি সোডিয়াম পারক্লোরেট বহন করবে। এই রাসায়নিকটি অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ক্ষেপণাস্ত্রের প্রপেল্যান্ট তৈরির প্রধান উপকরণ।
এফটি জানায়, সোডিয়াম পারক্লোরেটের এই পরিমাণ দিয়ে অন্তত ৯৬০ টন অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট উৎপাদন করা সম্ভব। আর এই পরিমাণ রাসায়নিক দিয়ে এক হাজার ৩০০ টন প্রোপেল্যান্ট তৈরি করা যাবে, যা ইরানকে মাঝারি পাল্লার অন্তত ২৬০টি ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করতে সক্ষম করবে।
বিশ্বজুড়ে মিসাইল টেকনোলজি এক্সপোর্ট কন্ট্রোল রেজিমের অধীনে এই রাসায়নিককে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে। তবে, পশ্চিমা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করতে পারেননি যে, চীনের সরাসরি মদদে এই শিপমেন্ট হচ্ছে কিনা।
এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি এই শিপমেন্টের বিষয়ে অবগত নন, তবে চীন সবসময় তার রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি চীন সরকারের বিরুদ্ধে একতরফা অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করার কথাও উল্লেখ করেন।