অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি পণ্যে চীন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও চীন এই পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে তারা আলোচনার জন্যও পথ খোলা রেখেছে।
চীনের নতুন শুল্কের আওতায় মুরগির মাংস, গরুর মাংস, শূকরের মাংস, সয়াবিন, ভুট্টা, ফলমূল, শাকসবজি ও দুগ্ধজাত পণ্যগুলোর ওপর প্রভাব পড়বে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানিয়েছেন, “চীন কখনোই কোনো প্রকার হুমকি বা চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না। যুক্তরাষ্ট্রকে পরামর্শ দিচ্ছি, তারা যেন সংলাপ ও সহযোগিতার সঠিক পথে ফিরে আসে।”
এই শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের ফেব্রুয়ারির এক পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে এসেছে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীনে প্রায় ২,৯২৫ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করেছিল, যা ২০২২ সালের তুলনায় কম ছিল। চীন যদি অন্যান্য দেশ থেকে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খাতে তা বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের নির্বাচনী সমর্থক কৃষকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, চীন এখনও আলোচনার পথ খোলা রেখেছে, এবং যদি শুল্ক আরও বৃদ্ধি পায়, তা উভয় দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা আরও কঠোর শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে এবং বাণিজ্য যুদ্ধের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায়। তবে যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও কঠোর পদক্ষেপ আসে, তাহলে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এই সংকট একমাত্র পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব, নাহলে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠবে, যা দুই দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।