জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যার মাধ্যমে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনার সূচনায় এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন বা সুপারিশ যথেষ্ট নয়। এই উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক শক্তি ও জনগণের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।

আলী রীয়াজ বলেন, “গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেছে, সেটি বাস্তবায়নের পথ খুলতে হবে। শুধু কাগজে আমরা কী লিখছি, তা নয়; জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।”

কমিশনের সহ-সভাপতি আরও বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন আনতে পারে এবং বাংলাদেশ তার সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জেগে উঠতে সক্ষম হবে।”

এ সময় কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন—ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আলোচনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরুর নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, আবু হানিফ, হাবিবুর রহমান রিজু, এডভোকেট খালিদ হোসেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল উজ্জামান, ফাতেমা তুজ জোহরা রেসা এবং মুনতাজুল ইসলাম।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ৩৫টি দলের মতামত পাওয়া গেছে, এবং ২০টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনা করেছে।