অনলাইন ডেস্ক:
কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে শ্রমিকরা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ধর্মঘট ডেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছেন। রোববার সকাল থেকে বন্দরের গেটে মানববন্ধন করে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তবে মিয়ানমারে পণ্য রফতানি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন, তারা কাজের জন্য ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না। শ্রমিক আবুল মনসুর বলেন, “আমরা সারা দিন কাজ করেও পাচঁ হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছি, অথচ মাঝিরা ট্রাকপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করলেও আমাদের মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “এছাড়া সরাসরি বোট থেকে পণ্য গুদামে খালাস করার জন্য কোনো মজুরি দেওয়া হচ্ছে না, যা আগে আমরা আদায় করতাম।”
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শ্রমিকদের একটি অংশ পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছে। তবে মিয়ানমারে পণ্য রফতানি কার্যক্রম চলছে। ধর্মঘটের কারণ জানার জন্য আমরা খোঁজ নিচ্ছি।”
এদিকে, শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বাণিজ্যঘাটে আমদানিকৃত পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে এবং পণ্যবাহী বোটগুলো নৌঙরে পড়ে আছে। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির দাবি জানিয়ে বন্দরের গেটে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করেন।
শ্রমিক নেতা মো. আজগর মাঝি ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে আরেক মাঝি মো. করিম বলেন, “শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন, কিন্তু ব্যবসায়ীরা মজুরি না বাড়ালে, মাঝিরা কীভাবে তাদের পরিশোধ করবেন?”
টেকনাফ স্থলবন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, “ধর্মঘটের কারণে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে, যার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তবে মূলত এটি মাঝি এবং শ্রমিকদের সমস্যা, আমাদের নয়।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শ্রমিকদের স্থলবন্দরে কর্মবিরতির খবর শুনেছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”