দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নাসের হাসপাতালে অগ্নিকান্ডে ৫ জন নিহত

অনলাইন ডেস্ক:

দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় নাসের হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী, যার ফলে পাঁচজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল বারহুমও রয়েছেন। হামলার ফলে হাসপাতালে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে। হামলাটি খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালের অস্ত্রোপচার ভবনে চালানো হয়, যখন ভবনটি আহতদের চিকিৎসায় পরিপূর্ণ ছিল। এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ, যারা দাবি করেছেন, হামলার লক্ষ্য ছিল ওই স্থানে এক হামাস সদস্যের কার্যক্রম।

হামলার ফলে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল বারহুম নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনটি জানিয়েছে। তাকে নিয়ে খবর নিশ্চিত করেছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টস। জানা গেছে, বারহুম আগের হামলায় আহত হয়ে নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার (২৩ মার্চ) জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে গাজার বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রের মতো নাসের হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গেল সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরাইল গাজায় হামলা চালায়, যার ফলে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা বাড়ে। যদিও হামাস দাবি করেছে, তারা শুধুমাত্র ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, ইসরাইলি বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকায় কিছুটা শান্তি ফিরে আসলেও, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফের সর্বাত্মক হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। রবিবার (২৩ মার্চ) থেকে গাজার উত্তর, দক্ষিণ এবং মধ্য অঞ্চলে হামলা চলছে, এবং সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

এছাড়া, শনিবার (২২ মার্চ) খান ইউনিসে ইসরাইলের আরেক হামলায় হামাসের আরেক নেতা সালাহ বারদাইল নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের পর থেকে হামাসের ১৯ সদস্যের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধাদের হামলার মাধ্যমে এই যুদ্ধ শুরু হয়, এবং যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় চলমান এই সহিংসতা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে।