দিনাজপুরে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু: ভারতের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ

জেলা প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৫) গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মৃত্যুবরণ করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তার মৃত্যু অসুস্থতাজনিত কারণে হয়েছে— রক্তচাপ একেবারে শূন্যে নেমে গিয়েছিল। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানান দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন।

পুলিশ জানায়, সেদিন বিকালে প্রতিবেশী চারজন সঙ্গীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে তিনি নাড়াবাড়ী হাটে যান। চা-সিগারেট খাওয়ার পর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় দুই পল্লী চিকিৎসকের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধরা পড়ে ব্লাড প্রেসার নেই বললেই চলে। এরপর তাকে দ্রুত দিনাজপুর মেডিকেলে নেওয়া হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ভবেশ চন্দ্র রায় মৃত তারক চন্দ্র রায়ের ছেলে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, “বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

তবে ভারতের এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এদিকে ভবেশ চন্দ্রকে “তুলে নিয়ে হত্যা” করা হয়েছে এমন খবর ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে স্থানীয় পুলিশ ও চিকিৎসা প্রতিবেদনে হত্যার কোনো আলামত এখনো পাওয়া যায়নি।