অনলাইন ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবি ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছর এবং ৭ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। শুক্রবার পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারের একটি অস্থায়ী আদালত এই রায় ঘোষণা করে।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর আদালত ইমরান খানকে ১০ লাখ রুপি এবং বুশরা বিবিকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করার আদেশ দিয়েছে। জরিমানা পরিশোধ না করলে ইমরান খানকে অতিরিক্ত ছয় মাস এবং বুশরা বিবিকে তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এই মামলায় আদালত জাতীয় জবাবদিহিতা অধ্যাদেশ, ১৯৯৯ এর ধারা ১০(ক) অনুযায়ী আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প ট্রাস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মামলার সমস্ত প্রমাণ ও সাক্ষীদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনা হয়নি। তারা কেবল ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করেছেন, এর বাইরে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।
গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বাহরিয়া টাউন লিমিটেড থেকে কোটি কোটি রুপি অর্থ এবং জমি নিয়েছিলেন, যা পাকিস্তান সরকারকে যুক্তরাজ্য থেকে পাঁচ হাজার কোটি রুপি ফেরত পাওয়ার সময় বৈধ করার জন্য ছিল।
শুক্রবার রায় ঘোষণার পর বুশরা বিবিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরান খান বর্তমানে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে। ইমরান খান দাবি করেছেন, এসব মামলা তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা।
মামলার রায় ঘোষণার আগে ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর শুনানির তারিখ ছিল, তবে শীতকালীন ছুটির কারণে তা স্থগিত হয়ে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে যায়। এরপর ১৩ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণা না হওয়ার জন্য বিচারকের দেরির কারণে পুনরায় বিলম্ব হয়।