নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক বিষয়গুলোতে অভিন্ন অবস্থানে আসতে পারে। তিনি বলেন, “এটি খুবই জরুরি, যাতে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় থাকে এবং ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরশাসক দেশের সংবিধান পরিবর্তন করতে না পারে।”
আজ (রোববার) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে একটি সনদ প্রস্তুত করা, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের পথনির্দেশক হবে। এই সনদটি শুধুমাত্র ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে, যেখানে রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে সকল দলের একমত হওয়া অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “কমিশন এক্ষেত্রে একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে, কিন্তু এটি সকল দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত হতে হবে।”
এ সময় তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক আলোচনা করতে এবং একমত হয়ে জুলাই সনদ প্রস্তুত করার জন্য উৎসাহিত করেন। এছাড়া গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “গণমাধ্যমকর্মীদেরও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হলো রাজনৈতিক মতপার্থক্য, তবে আমরা দ্রুত সমাধানে পৌঁছাতে চাই, এবং আমরা চাই যেন ভবিষ্যতে কোনও স্বৈরশাসক মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”
আজকের বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। কমিশনের দেয়া ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১১টি-তে একমত হওয়া হলেও, ৪৮টি-তে দ্বিমত এবং ৭টি প্রস্তাবে মতামত দেয়া হয়নি।
এদিন বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টির সাথে আলোচনা শুরু হবে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের আরও উন্নয়ন ও সমাধানের পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।