নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। তাই আমাদের এখন যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নারীদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, একে অন্যের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নারীরা যতটুকু অধিকার ও স্বাধীনতা চর্চা করতে পারছেন, তা আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে হয়েছিল। বাংলাদেশেও নারীরা ন্যায্য অধিকারের জন্য যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম চালিয়ে এসেছে। তেভাগা থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ—প্রতিটি ঐতিহাসিক পর্বে বাংলার নারীসমাজ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের অনেক বীর নারীকে আমরা ভুলে গেছি, কিন্তু জুলাই কন্যাদের আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব কখনোই ভুলতে দেওয়া হবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা তাদের সংগ্রাম, স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন, যা নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
পুরুষদের নারীদের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশে আমরা নতুন পরিবার গড়তে চাই, যেখানে বাবা-মা, ভাই-বোন সবার অধিকার নিশ্চিত থাকবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস আমাদের নতুন করে নারীদের সংগ্রামের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অনুপ্রেরণা যোগায়। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, যত বাধাই আসুক, ইতিহাস থেকে পাওয়া সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়াই হবে সবার অঙ্গীকার।