অনলাইন ডেস্ক:
আগামী ৪ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানে শুরু হচ্ছে ২০২৫ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার। এই টুর্নামেন্টটি নির্ধারণ করবে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য নারী বিশ্বকাপের জন্য শেষ দুটি দল কারা হবে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলসহ মোট ছয়টি দল অংশ নেবে, যা ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
কোয়ালিফায়ারে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো—বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তান। এই ছয়টি দল দুটি বিশ্বকাপের স্থান নিশ্চিত করার লড়াইয়ে নামবে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড এবং স্বাগতিক ভারত সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে।
পাকিস্তানে নারী বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার আয়োজন করা দেশটির জন্য একটি বড় অর্জন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২৯ বছর পর পাকিস্তানে একটি বড় মাপের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও শক্তিশালীভাবে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তুলবে।
কোয়ালিফায়ারের জন্য ভেন্যু হিসেবে লাহোরকে চূড়ান্ত করা হয়েছে, তবে পুরো সূচি এবং স্টেডিয়ামগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ১১ এপ্রিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আইসিসি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দুটি টুর্নামেন্টের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করছে যাতে কোনো সময় সংঘর্ষ এড়ানো যায়।
ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে, আইসিসির মধ্যস্থতায় দুই দেশের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো, নারী বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হতে পারে।
এটি হবে পাকিস্তানের মাটিতে পরপর দ্বিতীয় আইসিসি টুর্নামেন্ট। ১৯৯৬ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে স্বাগতিক ছিল।
