অনলাইন ডেস্ক:
কঙ্গনা রানাউতের ছবি ইমার্জেন্সি গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এবং বক্স অফিসে কঙ্গনার জন্য এটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ওপেনিং তৈরি করেছে। ছবিটি প্রথম দিনে ভারতীয় বক্স অফিসে ২.২৫ কোটি রুপি আয় করেছে, যা কঙ্গনার একক মুক্তি পাওয়া ছবির মধ্যে অন্যতম সেরা উদ্বোধন। যদিও ছবিটি বক্স অফিসে বৃহত্তর আয় করতে পারেনি, তবে এটি তার আগের ছবিগুলোর তুলনায় অনেক ভালো সাড়া পেয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে কঙ্গনার তেজস ১.২৫ কোটি রুপি, ২০২২ সালে ধকড় ১.২০ কোটি রুপি এবং ২০২১ সালে থালাইভি ১.৪৬ কোটি রুপি আয় করেছিল। ২০২০ সালে পাঙ্গা ছবিটি ২.৭০ কোটি রুপি আয় করে কঙ্গনার সবচেয়ে বড় উদ্বোধন তৈরি করেছিল।
তবে ইমার্জেন্সি ছবিটি বেশ কিছু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। কঙ্গনা নিজেই ছবির কাহিনী ও নির্মাণ পরিচালনা করেছেন এবং অনেক সমালোচক মনে করেন, তিনি ইতিহাসকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছেন। ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময়কালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের সমালোচনা তুলে ধরলেও, কঙ্গনা চরিত্রটির মধ্যে কিছুটা অতিরঞ্জিত উপস্থাপনা করেছেন, যা দর্শকদের কাছে একটু দুর্বল মনে হয়েছে।
ছবির কাহিনী ও অভিনয়ের বিষয়ে সমালোচনা রয়েছে। কঙ্গনার অভিনয় মাঝে মাঝে দিকভ্রান্ত বলে মনে হয়েছে এবং ছবির অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে গভীরতা বা শক্তি অনুপস্থিত। জওহরলাল নেহরু, সঞ্জয় গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং জয়প্রকাশ নারায়ণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের চরিত্রেও অভিনয়ের সুযোগ কম ছিল। ছবির চিত্রনাট্য এবং সংলাপও দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন সমালোচকরা।
এর ফলে, ইমার্জেন্সি ছবিটি দর্শকদের মধ্যে একতরফা গল্প হিসেবে মনে হয়েছে, যেখানে মূল চরিত্রের কোনো বড় উত্তরণ ঘটেনি। ছবিটি ইতিহাসের এক অধ্যায় নিয়ে তৈরি হলেও তা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।