পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

জেলা প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ১১টি লোহার দানবাক্স খুলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা গণনা করা হয়, যা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, মসজিদের ১১টি দানবাক্স থেকে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

চার মাস ১২ দিনের ব্যবধানে শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলিতভাবে প্রায় ৪০১ জন সদস্য টাকার গণনা কাজে অংশ নেন। গণনার পর, টাকা ছাড়াও কিছু বৈদেশিক মুদ্রা এবং সোনার গহনাও পাওয়া যায়।

এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী, সেনা সদস্য, পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা। গণনা শেষে সব টাকা রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে, এবং পাওয়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে গচ্ছিত রাখা হয়েছে।

প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়, তবে এবার আগের তুলনায় কিছুটা বেশি সময় পরে খোলা হয়েছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব টাকা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালানো, মাদ্রাসা, এতিমখানা, অসহায় মানুষ এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তার জন্য ব্যবহৃত হয়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গণনার দিন ছাড়াও অন্যান্য দিনগুলোতে সিন্দুকের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব পালন করে থাকে।

পাগলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে অন্যতম। এটি নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত এবং বলা হয়, এখানে দান করলে মানুষের মনের আশা পূর্ণ হয়, যা দূরদূরান্ত থেকে মানুষের আগমনকে আকর্ষণ করে।