নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে আয়োজিত বিএনপির ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তার মতামত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন মানে ঘাপটি মেরে থাকা পতিত স্বৈরাচারের সমর্থকদের সুযোগ করে দেয়া, পুনর্বাসনের সুযোগ দেয়া।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে রাজনীতিবিদদের হাতেই ক্ষমতার ভার বর্তায়। নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি দাঁড় করানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমেই সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
তিনি বিএনপির সংবিধানে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাবের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, “২০১৬ সালে বেগম জিয়া এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।” তারেক রহমান জানান, শেখ হাসিনা সংবিধানকে ইচ্ছেমতো কাটাছেঁড়া করেছেন এবং সারা বিশ্ব দেখেছে, পলাতক স্বৈরাচার বারবার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিলেন, সংবিধানকে অনুসরণ না করে।
তারেক বলেন, “মাফিয়া সরকারের পতনের পর অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না, যেখানে পতিত স্বৈরাচার পুনর্বাসনের সুযোগ পায়।”
তিনি আরও বলেন, “যারা সংস্কারের পর নির্বাচনের কথা বলে তাদের উদ্দেশে আমি বলছি, যা শেষ হয়ে যায় তা সংস্কার নয়, বরং যা চলমান তাই সংস্কার।”