অনলাইন ডেস্ক:
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাতিল, অতিরিক্ত জরিমানা সংশোধনসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে সময় বেঁধে দিয়েছে প্রাইম মুভার মালিকরা। চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো:
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাতিল করা এবং জরিমানার বিধান সংশোধন করা।
প্রাইম মুভার ট্রেইলার ও ফ্লাটবেড গাড়ির ভাড়া সরকারি নীতিমালার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা।
বিআরটিএ কর্তৃক পূর্বে রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রাইম মুভার ট্রেইলার একই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা।
অতিরিক্ত চাকা সংযোজন, লো-বেড, সেমি লো-বেড গাড়ির ধরন পরিবর্তনের নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।
ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিটসহ বিভিন্ন করের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও অন্যান্য ফি প্রত্যাহার করে একক ডকুমেন্টের আওতায় আনতে হবে। ভাড়ায় চালিত গাড়ির অগ্রিম আয়কর সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা এবং ট্যাক্স টোকেন ফি অর্ধেক করতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক চালকদের পেশাদারী লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে চলাচলরত পণ্য পরিবহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাইম মুভার ট্রেইলার টার্মিনাল স্থাপন করতে হবে এবং বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য বোঝাইকৃত গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা করা।
দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে মালামাল চুরি, ডাকাতি এবং ড্রাইভার/হেলপারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
শ্রম আইন ও সড়ক পরিবহন আইনের সাংঘর্ষিক ধারা-উপধারা বাতিল করে সংস্কার করা।
সংগঠনের সভাপতি মো. আবু ছালেহ জুয়েল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দেশের ৮৫ শতাংশ পণ্য পরিবহন সড়ক ও মহাসড়ক দিয়ে হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন বন্দরের ৯৫ শতাংশ কার্যক্রম প্রাইম মুভার ট্রেইলার, ফ্লাটবেড ও অন্যান্য গাড়ির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তবে সত্ত্বেও আমরা সরকারের কাছ থেকে অবহেলা, বঞ্চনা এবং অন্যায়-অবিচারের শিকার হচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের ১১ দফা দাবি পূরণের জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায়, ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির মাধ্যমে আমাদের প্রতিবাদ জানাবো।”এর আগে করোনাভাইরাস মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা উপেক্ষা করে প্রাইম মুভার মালিকরা দেশ ও জনগণের জন্য ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করে আসছেন।