অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি একসময় বডি শেমিংয়ের তীব্র শিকার হয়েছিলেন। অসুস্থতার কারণে শারীরিক স্থূলতা তাকে সমালোচকদের তীরে বিদ্ধ করেছিল। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও দীঘি দমে যাননি। নিজের স্বপ্ন পূরণ ও শরীরকে ফিট করার জন্য শুরু করেছিলেন কঠোর পরিশ্রম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
দীঘি বলেন, “বডি শেমিং একজন মানুষকে কতটা ট্রমাটাইজড বা হতাশ করতে পারে, তা না ভেবেই আমরা অনেক সময় এমন মন্তব্য করে বসি। কিন্তু যিনি এসবের শিকার, তার মানসিক অবস্থাটা বুঝতে হবে।”
অসুস্থতার কারণে এক সময় স্টেরয়েডের উচ্চমাত্রার ওষুধ সেবন করতে হয়েছিল দীঘিকে, যা তার শারীরিক অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলেছিল। তিনি বলেন, “আমার শরীর ফুলে গিয়েছিল, আর নিজেকে খুব ভারী ও দুর্বল মনে হতো। শুকানোর জন্য প্রচুর চেষ্টা করেও ফল আসছিল না। সেই সময় মনে হয়েছিল, আমি হয়তো আর পারব না।”
তবে দিঘি হার মানেননি। কঠোর পরিশ্রম, ডায়েট ও জিমের মাধ্যমে তিনি নিজের শরীরকে ফিট করে তোলেন। শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে ওঠার পথে অভিনয়ে প্রশংসা পেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার টিকটক বা রিল ভিডিও নিয়ে সমালোচনা তাকে বারবার আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
বডি শেমিং নিয়ে দীঘির এই অভিজ্ঞতা শুধু তার একার নয়, বরং অনেকের। তবে দীঘির গল্প প্রমাণ করে, ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। এখন তিনি আরও আত্মবিশ্বাসী এবং কাজের মাধ্যমে নিজের জায়গা আরও দৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর।