বাংলাদেশের অর্থনীতি মোটামুটি ভালো অবস্থানে: অর্থ উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বর্তমানে মোটামুটি ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং দেশের আন্তর্জাতিক ইমেজও অনেক উন্নত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট পজেটিভ এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহও ভালো রয়েছে। আমাদের এখন আইএমএফ বা বিশ্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে তাড়া নেই। দেশের ইমেজ এখন অনেক ভালো।”

অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, “জেলা, উপজেলা এবং গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা যারা যথেষ্ট আয় করলেও ট্যাক্স দেন না, তাদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এছাড়া, তিনি বলেন, “চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যেভাবে ফি গ্রহণ করেন, তা রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে আনা হবে। এতে তাদেরও করের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা যদি ট্যাক্সের আওতা বাড়াতে না পারি, তবে সরকারের রাজস্ব বাড়ানো কঠিন হবে। আমাদের দেশের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তবে কর দেয় মাত্র ৫ লাখ।”

এ সময়, তিনি জানালেন, বাংলাদেশের চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের প্রস্তাব আরও পিছিয়েছে। “আগামী জুনে চতুর্থ এবং পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় একসঙ্গে করা হবে,” বলেন তিনি।

এছাড়া, তিনি বলেন, “প্রথমে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় ৫ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা পিছিয়ে ১২ মার্চ করা হয়, তবে এখন তা আরও পিছিয়ে জুনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।”

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, “দেশে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে। চীনেও গ্রামাঞ্চলের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেশে যোগাযোগের অভাবে এ ধরনের পণ্য বাজারে আসে না।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা দক্ষ এবং সেবক হতে হবে। তাতে জনগণ যথাযথ সেবা পাবে।”

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। দেশ আরও উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”