বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এক-এগারোর প্রস্তাবনা: নাহিদ

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে এক-এগারো সরকারের প্রস্তাবনার ইঙ্গিত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এক-এগারোর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল।’

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে সামনে আরেকটি এক-এগারো সরকার এবং সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও গুম-খুনের ধারাবাহিকতা এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার লড়াইয়ের মুহূর্তে ৫ অগাস্ট থেকে অনেক জাতীয় নেতারা ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে নতুন সরকার গঠনের পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন। তিনি দাবি করেন, তারা বারবার সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবেন না এবং শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

এছাড়া, তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকার হবে বলে আমরা চেয়েছিলাম। তবে বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয়নি।’ তিনি আরও জানান, বিএনপি নির্বাচনের পরে জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলছে, অথচ অভ্যুত্থানের পরেই জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা ছিল সবচেয়ে বেশি।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে এক-এগারোর সরকারের সাথে তুলনা করা অনুচিত, কারণ ছাত্ররা এই সরকারের এবং বর্তমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর। বিএনপির নতুন প্রস্তাবনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে, যা ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এছাড়া, তিনি বলেন, সরকার গঠনের পূর্বে বিভিন্ন পদে বিএনপিপন্থী লোকজন নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এবং এই বাস্তবতাও নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতার দিকে ইঙ্গিত করে।

নাহিদ ইসলাম আরো দাবি করেন, বিএনপি বিভিন্ন বিষয়ে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ছাত্রদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে, তবে গণতন্ত্রবিরোধী কোনো পরিকল্পনা তারা মেনে নেবে না। তিনি শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতাকে আহ্বান জানান, তারা যেন বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নেয়।