অনলাইন ডেস্ক:
ইন্দোনেশিয়া আগামী মাস থেকে একটি বৃহৎ স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশটি আগামী পাঁচ বছরে অন্তত ২০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রদান করবে। প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর অধীনে সরকারের এই উদ্যোগটি দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের একটি অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন জানিয়েছেন, নতুন কর্মসূচির আওতায় ৭০ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যারা আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই সেবা গ্রহণ করতে পারেন না। প্রথম বছরে ৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং ২০২৫ সালে এর জন্য ৪ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন রুপিয়া বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ শনাক্ত করা হবে, এবং শিশুদের জন্য অপুষ্টি ও জেনেটিক রোগ পরীক্ষা করা হবে।
অনেকে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বেকাসির ৭৫ বছর বয়সী নাগরিক ওনিহ বলেন, “আমার পা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাই দূরে যেতে পারি না। আশা করছি, নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে ঘরে ঘরে গিয়ে সেবা প্রদান করা হবে, যেমন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।” তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, দেশটির অনেক অঞ্চলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং ল্যাবের অভাব রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে, যাতে প্রত্যেক নাগরিক ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, নাগরিকদের ‘সাতু সেহাত’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে, যাতে তারা তাদের জন্মদিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেন।
এছাড়া, এই উদ্যোগটি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর ৮ শতাংশ বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি মানুষ অসুস্থ থাকে, তবে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সঠিক স্বাস্থ্যসেবা ছাড়া মেধাবী ব্যক্তিরাও তাদের সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারবেন না।”
সূত্র: নিক্কেই এশিয়া