অনলাইন ডেস্ক:
ইতালির রোম থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ‘বোমা হামলার হুমকি’ এবং বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোমা রাখার ভুয়া বার্তার ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গত রোববার রাতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ দুটি জিডি দায়ের করেন।
এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম জানান, “আমরা গত রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দুটি জিডি করি।”বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার, যিনি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোমা রাখার ঘটনায় দায়ের করা জিডির তদন্ত করছেন, বলেন, “এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এর গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা চেষ্টা করছি এই হুমকির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে।”
অপরদিকে, বোমা হামলার হুমকির ঘটনায় দায়ের করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এই ঘটনার উদঘাটনে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য ইউনিটের সহায়তা নেবো।”
গত ২২ জানুয়ারি রোম থেকে ঢাকায় আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে বোমা রাখার হুমকির বার্তা পায়। বার্তা পাওয়ার পর এটি বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। এর পর ২৫০ যাত্রী ও ১৩ ক্রু নিয়ে ফ্লাইটটি নিরাপদে ঢাকায় অবতরণ করে।ফ্লাইটটি অবতরণের পর, বিমান বাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্স, বোমা বিশেষজ্ঞ টিম, এপিবিএনর কুইক রেসপন্স টিম, ডগ স্কোয়াড এবং ডিএমপির স্পেশাল ফোর্স সদস্যরা বিমানবন্দর তল্লাশি করেন। তবে তারা কোন বোমার অস্তিত্ব পাননি।
এর পর, মালয়েশিয়া থেকে আসা একটি নম্বর থেকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোমা রাখা আছে এমন বার্তা পাওয়ার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয় এবং পুরো বিমানবন্দর তল্লাশি করা হয়। তবে এই তল্লাশীতেও কোনো বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।