অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্ববাজারে তেলের দাম গত সোমবার চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তেলের দাম কমে গেছে। এই পতনের ফলে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ৩.৫% কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৩.৩০ ডলার এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডবালিউটিআই) তেলও ৩.৫% কমে ৫৯.৮৪ ডলার হয়েছে। এটি ২০২১ সালের শুরু থেকে দেখা যায়নি, যখন বিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে লড়াই করছিল।
তেলের দাম পতনের পেছনে ওপেক+ জোটের সম্প্রতি নেওয়া সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। গত সপ্তাহে, ওপেক+ সদস্য দেশগুলি, যার মধ্যে সৌদি আরব, রাশিয়া, এবং আরও ছয়টি দেশ রয়েছে, ঘোষণা করেছে যে তারা মে মাস থেকে পূর্বঘোষিত পরিকল্পনার চেয়ে অনেক বেশি তেল উৎপাদন বাড়াবে।
এই পতনের সাথে সাথে মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং চীনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিশ্বের শেয়ারবাজারেও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন হয়েছে। জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের শেয়ারবাজারে পতন দেখা গেছে। নিকেই ২২৫ সূচক ৭.৯% এবং টপিক্স সূচক ৭.৭% কমেছে। পাশাপাশি, ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে পতন কিছুটা কম হলেও তা যথেষ্ট ছিল। জার্মানির ডিএএক্স সূচক ৯% এবং লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক প্রায় ৫% কমেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি চান না “কিছুই নিচে নেমে যাক”, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কখনো কখনো কিছু ঠিক করতে ওষুধ খেতেই হয়।” শুল্ক আরোপের পর থেকে ৫০টিরও বেশি দেশ বাণিজ্য আলোচনা শুরু করার জন্য হোয়াইট হাউসের সাথে যোগাযোগ করেছে।
সূত্র: সিএনএন
