নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশাখের প্রখর রোদের মধ্যে হঠাৎ কয়েক দফা বৃষ্টি নগরবাসীকে এনে দিয়েছে কিছুটা স্বস্তি। তবে সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু ভোগান্তিও। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে হঠাৎ করেই ঢাকার আকাশে মেঘ জমে আসে। এরপর তিনটার দিকে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, সঙ্গে বইতে থাকে হালকা বাতাস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে থাকে।
দীর্ঘ দিনের তাপপ্রবাহের মধ্যে এই বৃষ্টি খানিকটা আরাম দিলেও, প্রস্তুতি ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বিকাল ৫টা ২১ মিনিটেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
বৃষ্টির কারণে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ফ্লাইওভার কিংবা দোকানের ছাউনির নিচে। মৌচাক ফ্লাইওভারের নিচে চায়ের দোকানের সামনে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, “অফিস থেকে বের হয়েই ভিজে গেলাম। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নোংরা পানি জমে আছে, সেখানে পয়ঃনিষ্কাশনের পানি মিশে যাচ্ছে। শরীরে সেই পানি লাগছে, যা খুবই অস্বস্তিকর।”
তিনি আরও জানান, হাঁটা দূরত্বে বাসা হলেও রাস্তায় পানি জমে থাকায় হেঁটে যাওয়া যাচ্ছে না, আবার এই বৃষ্টির মধ্যে রিকশাও মিলছে না।
অন্যদিকে মিরপুরের চাইনিজ এলাকায় বিআরটিসি বাসের এক বয়স্ক যাত্রী বাস থেকে নামার আগে চালককে অনুরোধ করেন যেন কোনো ছাউনির নিচে বাস থামানো হয়। কারণ, হঠাৎ ভিজে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
অবশ্য এই স্বস্তির বৃষ্টি আরও কিছুদিন থাকতে পারে কিনা, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে তীব্র গরমের মাঝে হঠাৎ এমন বৃষ্টি নগরজীবনে কিছুটা প্রশান্তি এনে দিয়েছে।