বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হত্যার ঘটনায় তাপসসহ চারজনকে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর গুলশান, ধানমণ্ডি ও ভাটারা থানায় দায়ের করা তিনটি পৃথক হত্যা মামলায় গান বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াক তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার দেখানো বাকি তিনজন হলেন—নিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম, দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক সিকদার লিটন এবং যুব মহিলা লীগের নেত্রী আশা আক্তার। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত তিনটি পৃথক গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ রয়েছে।

২০১৬ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এসব ঘটনা ঘটে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯ জুলাই গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এ ঘটনায় জব্বার আলী হাওলাদার নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন এবং পরবর্তী সময়ে সুস্থ হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এরপর ৪ আগস্ট ধানমণ্ডি সাইন্সল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলার দিকে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন ২৩ বছর বয়সী মো. রিয়াজ। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট মারা যান। তার মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরেকটি ঘটনা ঘটে ২০ জুলাই, যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে ভাটারা থানাধীন এলাকায়। আন্দোলনে অংশ নিতে আসা মো. জাহাঙ্গীর গুলিতে আহত হয়ে ২১ জুলাই মারা যান। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে হাজির হয়ে এই তিনটি মামলায় তাপসসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করেন।

এই মামলাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সহিংস ঘটনার বিচার এবং দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়ে আসছে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।