নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ পরিস্থিতিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৭ মে) বিকেলে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ মনে করে, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি রক্ষায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া উচিত।” তিনি দিল্লি ও ইসলামাবাদকে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তানে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ এই হামলাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ এবং ‘আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জানান, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের পূর্বাঞ্চলে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, “ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি চলছিল এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী ও জনগণ ভারতের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াবে এবং বিজয়ী হবে। আমরা সত্যের পক্ষে লড়ছি, আর আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন।”
এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ দুই প্রতিবেশি দেশের এই উত্তেজনা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
