ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে: পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা

প্রতীকী ছবি

অনলাইন ডেস্ক:

পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলার জেরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান, যা দেশটির পক্ষ থেকে “যুদ্ধ ঘোষণা” হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ জানিয়েছেন, ভারতের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলার আঘাতে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। পাল্টা জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসলামাবাদ।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছেন, তবে হামলার সময় ও স্থান নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি বলেন, “আমরা ভারতের বিরুদ্ধে অবশ্যই দাঁড়াব এবং বিজয়ী হব।”

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা চলছিল, তাই অন্তত ৯টি স্থানে প্রিভেন্টিভ স্ট্রাইক চালানো হয়েছে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, উভয় দেশেই সামরিক হতাহতের খবর মিলেছে।

হামলার জেরে ইসলামাবাদের সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং জরুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে পাকিস্তান সরকার।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি দুই দেশকে কূটনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

স্মরণ করা যেতে পারে, পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’-কে দায়ী করে আসছে, যাদের লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত বন্ধ, আকাশপথ স্থগিত এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো একাধিক কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়েছে উভয় দেশ। এমনকি ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পানি বণ্টন চুক্তিও স্থগিত করেছে।