অনলাইন ডেস্ক:
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকরের একদিনের মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতির লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে শনিবার (১০ মে) মধ্যরাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। তবে পরদিন রবিবার (১১ মে) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর ও জম্মুতে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্র অভিযোগ করেন, “পাকিস্তান একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যার জবাবে ভারতীয় সেনারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।” নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের প্রতি চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানান।
পাল্টা বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারত যুদ্ধবিরতির নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এবং পাকিস্তান পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে চুক্তি পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
ভারত-পাকিস্তানের এই সাম্প্রতিক উত্তেজনা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যুর পর থেকেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যায়।
পরবর্তীতে সীমান্ত উত্তেজনা চূড়ায় পৌঁছায় ৬ মে রাতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে ৩৬ জন এবং পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে ২১ জনের প্রাণহানির ঘটনায়।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, “যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”
এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর একে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পথে বড় পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।