অনলাইন ডেস্ক:
ঈদের পর প্রথম কার্যদিবসে (রোববার) দেশে শেয়ারবাজারে শুরু হয় ব্যাপক দরপতন, তবে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর দাম বাড়ায় তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু একদিন পর, সোমবার, মিউচুয়াল ফান্ডের দাম কমে যাওয়ার কারণে আবারও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
গত রোববার ঈদ উপলক্ষে ৯ দিনের ছুটি শেষে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে আড়াই গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। তবে, ৩৭টি মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে ৩৩টির দাম বেড়ে শেয়ারবাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনে। এর ফলে বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পায় শেয়ারবাজার।
তবে, সোমবার লেনদেনের শুরুতে সূচকের কিছুটা উত্থান দেখা গেলেও, দুপুরের পর মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর দাম আবার পতনের দিকে চলে যায়। মিউচুয়াল ফান্ডের দাম কমানোর কারণে শেয়ারবাজারে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ডিএসই তে লেনদেনের পর দেখা যায়, ১৫০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে এবং ১৯১টি কোম্পানির দাম কমেছে। এছাড়া, ৩৭টি মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে মাত্র ৬টির দাম বেড়েছে, অন্যদিকে ২৩টির দাম কমেছে।
তবে, শেয়ারবাজারের পুরো পরিস্থিতি প্রতিফলিত হয় সূচকগুলোতে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৫,১৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ১,৯৩০ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
এছাড়া, শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। এই লেনদেনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং বেক্সিমকো ফার্মা কোম্পানির শেয়ার।
অন্যদিকে, কক্সবাজার স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এ সিএএসপিআই সূচক দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০ কোটি ১৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
মোট কথা, মিউচুয়াল ফান্ডের দরপতন এবং শেয়ারবাজারের প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে দেশের শেয়ারবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।