অনলাইন ডেস্ক:
মিয়ানমারের সবচেয়ে কুখ্যাত জালিয়াতির কেন্দ্রগুলোর একটি থেকে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ পালিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। থাই প্রাদেশিক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে একথা জানিয়েছেন। থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অন্তত ৩০টির বেশি জালিয়াত চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ভুয়া বিনিয়োগ ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের অর্থ লুটে নেওয়া হয়। প্রতারণার মাধ্যমে চক্রগুলো বছরে হাজার হাজার কোটি ডলার লুটে নিচ্ছে। মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত তাক প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর সাওয়ানিত সুরিয়াকুল না আয়ুথায়া বলেন, গতকাল ‘বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের কে কে পার্ক’ জালিয়াতি কেন্দ্র থেকে ৬৭৭ জন লোক মোই নদী পার হয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের ফলে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময়, ইন্টারনেট জালিয়াতরা সেখানে প্রেম ও ব্যবসায়িক স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতারণা করে। মিয়ানমারের শিথিল শাসনের সুযোগে বিশাল সীমান্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপকভাবে এ ধরনের প্রতারণা শুরু হয়। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া একটি অভিযানে প্রায় ৭ হাজার কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং থাইল্যান্ড সীমান্তে ইন্টারনেট অবরোধ আরোপ করেছে।
তবে এ মাসে এএফপি’র এক তদন্তে জানা গেছে যে স্টারলিংক ইন্টারনেট সার্ভিস রিসিভারগুলো পুনরায় সক্রিয় করার কাজ দ্রুতগতিতে হয়েছে। এই স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা রিসিভারগুলো ব্যাপকভাবে ইনস্টল করা হয়েছে, যা এলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সঙ্গে হাবগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সাওয়ানিত গতকাল গতকাল বৃহস্পতিবার এএফপিকে বলেন, অভিবাসন পুলিশ ও একটি সামরিক টাস্ক ফোর্স মানবিক পদ্ধতির অধীনে এদেরকে সহায়তা প্রদানের জন্য একসঙ্গে কাজ করেছে।
তিনি আরও যোগ করেন, এই প্রক্রিয়া কর্তৃপক্ষকে নির্ধারণ করতে দেবে যে এই ব্যক্তিরা মানব পাচারের শিকার কি-না। তারা যদি তা না হয়, তবে তাদের অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের জন্য বিচার করা হতে পারে। যদিও কিছু জালিয়াত কর্মীকে প্রায়শই সুরক্ষিত কম্পাউন্ডে পাচার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যরা স্বেচ্ছায় বহু বিলিয়ন ডলারের অবৈধ এই শিল্পে তাদের দেশের চেয়ে বেশি আয়ের আশায় যায়। এই অঞ্চলের তত্ত্বাবধানকারী তাক প্রাদেশিক প্রশাসনের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মিয়ানমার থেকে প্রবেশকারী দলটিতে ‘বিদেশী নাগরিক’ রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ও নারী উভয়ই রয়েছে। কর্তৃপক্ষ ধারণা করেছিল, থাইল্যান্ডে আরও বেশি লোক প্রবেশ করবে।











