অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৯১ রানে। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের ২২৭ রানের জবাবে ৬৪ রানের লিড পেলেও শেষ সেশনে ব্যাটিং ধসে চাপেই আছে স্বাগতিকরা। দিন শেষে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬*) ও তাইজুল ইসলাম (৫*)।
চা-বিরতির সময় বাংলাদেশ ছিল অনেকটাই স্বস্তিতে। ৩ উইকেটে স্কোর ছিল ২০৫ রান। বড় লিডের স্বপ্ন তখন পুরো দলের মাঝেই। তবে দিনের শেষ সেশনে মাত্র ৩০ ওভারে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় টাইগাররা। স্কোরবোর্ডে ২৫৯ থেকে ২৭৯—এই ২০ রানের মধ্যেই ধস নামে।
সেঞ্চুরি পাওয়া সাদমান ইসলাম ছাড়া বাংলাদেশের আর কেউই ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ১৮১ বল খেলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ওপেনার। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক, আগেরটিও এসেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এই ইনিংসেই সাদমান ছুঁয়েছেন ১০০০ টেস্ট রানের মাইলফলক।
সাদমানের সঙ্গে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয়। যদিও ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি থেকে মাত্র ১১ রান দূরে থেকে ৩৯ রান করে এলবিডব্লিউ হন ব্লেসিং মুজারাবানির বলে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। এটি বিজয়ের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।
দ্বিতীয় উইকেটে সাদমানের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক (৩৩)। তবে ইনিংসের ৫৪তম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই এলবিডব্লিউ হন সাদমান ইসলাম।
এরপরই ধস নামে। অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা তার ঘূর্ণিতে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকের আলীকে তুলে নেন ৮ রানের ব্যবধানে। শান্ত ৫৪ বলে ২৩ রান করে শর্ট মিডউইকেটে দুর্বল শটে আউট হন, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আবারও।
১৩ বলে ৫ রান করা জাকের মাসেকেসার বল বুঝে উঠতে না পেরে ফেরতি ক্যাচ দেন। এরপর মুশফিকুর রহিম (৪০) রানআউট হয়ে ফেরেন দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে। এরপর নাঈম হাসান মাত্র ৩ রান করে স্লিপে ক্যাচ দেন মাসেকেসার বলে।
দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশি বোলারদের জন্য দারুণ। ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা জিম্বাবুয়ে কোনো রান যোগ করার আগেই অলআউট হয়ে যায়। দিনের প্রথম বলেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। তার বলে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুজারাবানি। প্রথমে আম্পায়ার আউট না দিলেও বাংলাদেশি ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনের পর সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি।
তাইজুল ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে দেন। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই বাংলাদেশের জন্য বড় লিডের পথ খুলে গিয়েছিল। এখন প্রশ্ন—এই লিডকে কতটা কাজে লাগাতে পারবে টাইগাররা?