অনলাইন ডেস্ক:
ইসলামে রোজা প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের নারী-পুরুষের জন্য ফরজ। তবে, শিশুদের ওপর রোজা ফরজ নয়। শিশুদের শারীরিক বা মানসিক কারণে রোজা পালন করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু অনেক শিশুই অভ্যস্ততার কারণে রোজা রাখে। শিশুদের রোজা পালনে অভ্যস্ত করার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল রয়েছে, যেগুলো পিতামাতারা তাদের শিশুকে রোজা পালনে উৎসাহিত করতে ব্যবহার করতে পারেন।
১. রোজার ফজিলত সম্পর্কে শিক্ষাদান: শিশুদের রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানতে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জানাতে হবে যে, সিয়াম পালন জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম এবং জান্নাতের একটি দরজার নাম হচ্ছে আর-রাইয়্যান, যা শুধুমাত্র রোজাদাররা ব্যবহার করবে।
২. ধীরে ধীরে রোজা পালন শিখানো: প্রথম দিকে শিশুদের দিনের কিছু সময় রোজা রাখার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। সময়ের সাথে সাথে, ধীরে ধীরে রোজা রাখার সময় বাড়ানো যায়।
৩. সাহরি গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা: শিশুদের সাহরি গ্রহণে উৎসাহিত করা উচিত, কারণ এটি তাদের রোজা পালনে সহায়ক হতে পারে। শেষ সময়ে সাহরি খেলে, দিনব্যাপী রোজা রাখা তাদের জন্য আরও সহজ হয়ে যায়।
৪. পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করা: শিশুদের রোজা রাখলে তাদের পুরস্কৃত করা যেতে পারে। এটি তাদের জন্য একটি বড় উৎসাহ হতে পারে এবং রোজা রাখার প্রেরণা জোগাবে।
৫. ইফতার ও সেহরিতে প্রশংসা করা: ইফতার ও সেহরির সময় পরিবারের সবাইকে শিশুদের প্রশংসা করতে হবে। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
৬. প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি করা: যদি একাধিক শিশু থাকে, তবে তাদের মধ্যে রোজা রাখার ক্ষেত্রে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা যেতে পারে। তবে, খুব সতর্ক থাকতে হবে, যেন পিছিয়ে পড়া শিশুটির প্রতি কোনও কঠোরতা না প্রদর্শিত হয়।
৭. বন্ধুদের ও অন্যান্য পরিবারে রোজা রাখার উদাহরণ: যদি শিশুদের আশপাশে এমন পরিবার থাকে যারা রোজা রাখে, তবে তাদের বাসায় গিয়ে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে। এতে শিশুরা রোজা রাখার জন্য আরও উৎসাহিত হবে।
শিশুদের রোজা পালনের মাধ্যমে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে এবং তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি পাবে।