অনলাইন ডেস্ক:
সরকার দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য এক লাখ টন সার এবং ৪০ হাজার টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এই সার ও এসিড আমদানির মোট ব্যয় হবে ৮৮৮ কোটি ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ টাকা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ।
বৈঠক সূত্র জানায়, সৌদি আরব থেকে দুই লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সারের আমদানির জন্য ব্যয় হবে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯৮ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম হবে ৬১১ ডলার।
এছাড়া, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১২তম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ক্রয়ের জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪২ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
এ বৈঠকে সৌদি আরব থেকে আরও ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ক্রয়ের জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৪ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা।
এর পাশাপাশি, চট্টগ্রামের ডিএপিএফসিএলের জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এই আমদানির জন্য মোট ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ২ লাখ ৮ হাজার টাকা, প্রতি টন ফসফরিক এসিডের দাম পড়বে ৬৩৩ দশমিক ৪২ ডলার।
একইভাবে, চট্টগ্রামের ডিএপিএফসিএলের জন্য আরও ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আমদানির জন্য ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা, এবং প্রতি টন ফসফরিক এসিডের দাম পড়বে ৬১৭ দশমিক ৭৬ ডলার।