অনলাইন ডেস্ক:
সিরিয়ার নতুন সরকারের বাহিনীর সঙ্গে বাশার আল আসাদপন্থী বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষে ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। লাতাকিয়া প্রদেশের রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত বিমানঘাঁটির কাছের এলাকা, যেখানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গতকাল শুক্রবার এই খবর জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, আসাদের সমর্থক বাহিনী জাবলেহ শহর ও তার আশেপাশে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। ২৫ জনেরও বেশি আসাদপন্থীকে আটক করা হয়েছে। একই সময়ে, হোমস ও আলেপ্পো শহরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাচাই না করা ভিডিওতে হোমসের আবাসিক এলাকায় প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সতর্কবার্তা জারি করেছেন, “হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে পরিবারগুলোর কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার কেউ কেউ খুনি ও অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আপনার অস্ত্র জমা দিন, অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।”
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই সতর্কবার্তা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য একটি বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলাউইত সম্প্রদায়ের কর্মীরা জানিয়েছেন, আসাদের পতনের পর তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে, বিশেষত হোমস ও লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকাগুলোতে।
এদিকে, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে জানান, নতুন সরকার আসাদের অধীনে তৈরি হওয়া রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই সংঘর্ষ সিরিয়ার সরকার ও আসাদপন্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামরিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
