অনলাইন ডেস্ক:
সিলেটে র্যাবের অভিযানে মহানগর যুবলীগের সহ-দফতর সম্পাদক হেলাল মিয়াসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারদের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আজম খান, ছাত্রলীগ নেতা সাইরুল কবীর সঞ্জয়, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক সানি কবীরসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন।
গত রোববার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সিলেটের জালালাবাদ থানার গুয়াবাড়ি এলাকা থেকে হেলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। হেলাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিস্ফোরক মামলায় পলাতক ছিলেন এবং আত্মগোপনে চলে যান। গত বছরের ২৭ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলাটি দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানিয়েছে, এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেট মহানগর পুলিশের অভিযান চালিয়ে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, সিসিকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আজম খান, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আরমান হোসেন আনু এবং জকিগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা মিলন আহমদ।
আজম খান ১/১১’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং তিনি ২০২৩ সালে সিসিক নির্বাচনে পরাজিত হন। এদিকে, আরমান হোসেন আনু ফেঞ্চুগঞ্জ এবং দক্ষিণ সুরমা থানায় একাধিক মামলার আসামি এবং তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের একটি মামলাও রয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার হওয়া মিলন আহমদ জকিগঞ্জের বিরশ্রী ইউনিয়নের পীরনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলেও, তাদের কাজ এখনো চলমান এবং আরও আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।