জেলা প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও বিশ্বম্ভরপুরে হাওরের গর্ত ভরাটের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেওয়া কৃষিবান্ধব প্রকল্প এখন রূপ নিয়েছে দায়সারা প্রকল্পে। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এই প্রকল্পে নির্ধারিত সময়সীমা শেষের পথে এলেও বাস্তবে অগ্রগতি হয়েছে মাত্র নামমাত্র।
সরকারি কাগজে জামালগঞ্জে ৫৫%, তাহিরপুরে ৩৫%, ধর্মপাশা-মধ্যনগরে ১৩% এবং বিশ্বম্ভরপুরে ১৫% কাজ শেষ হওয়ার দাবি করা হলেও, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রকৃত অগ্রগতি ২০ শতাংশের নিচে। স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদার মিলেই কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ চলছে।
হাওরের মাটি কাটার গর্ত ভরাট না হওয়ায় বন্যায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি যেমন থাকছে, তেমনি হাওরের ঘাস ও গবাদিপশুর খাদ্যের সমস্যাও বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে কৃষকদের কিছুই জানানো হয়নি। গোপনে, লোক দেখানোভাবে সামান্য কিছু জায়গায় বালু ফেলা হলেও অধিকাংশ গর্ত আগের অবস্থায়ই রয়ে গেছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, প্রকল্পের নামে কোটি টাকার বরাদ্দ এলেও হাওরের প্রকৃত উপকার হয়নি। বরং প্রকল্পকে ব্যবহার করা হয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার অবশ্য বলেছেন, প্রকল্পের কাজ চলমান এবং বাকি কাজ শেষ করতে সময় বাড়ানো হবে। তিনি দাবি করেন, অনিয়মের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং প্রকৃত বিলের পরিমাণও খুব কম দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রকল্পের সহ-ঠিকাদার ভজন তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।